03.07.2024
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
কলঙ্গীধর (যিনি কলঙ্কিত হয়েছিলেন, তিনিই যোগ্য এবং পূজনীয় হলেন) হওয়ার জন্য
নিজের অবস্থা অচল - অটল বানাও, তোমাদের উপর যত কলঙ্ক লাগে, ততই তোমরা কলঙ্গীধর হয়ে
ওঠো"
প্রশ্নঃ -
বাবার আজ্ঞা
কি? কোন্ মুখ্য আজ্ঞায় চলা বাচ্চারা হৃদয় সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ
বাবার আজ্ঞা
হলো - মিষ্টি বাচ্চারা, তোমরা কারোর সঙ্গে খিটখিট করো না । তোমাদের শান্তিতে থাকতে
হবে । যদি কারোর তোমাদের কথা পছন্দ না হয়, তাহলে তোমরা চুপ করে থাকো । একে অপরকে
বিরক্ত করো না । বাপদাদার হৃদয় সিংহাসনে তখনই অধিষ্ঠিত হতে পারো যখন অন্তরে কোনো
ভূত থাকবে না, মুখ থেকে কখনো কোনো মন্দ কথা নির্গত হবে না, মিষ্টি করে কথা বলা যখন
জীবনের ধারণা হয়ে যাবে ।
ওম্ শান্তি ।
ভগবানুবাচ,
আত্ম - অভিমানী ভব,সর্বপ্রথমে অবশ্যই বলতে হবে । এ হলো বাচ্চাদের জন্য সাবধান বাণী
। বাবা বলেন, আমি যখন বাচ্চা - বাচ্চা বলি, তখন আমি আত্মাদেরই দেখি, এই শরীর তো
পুরানো জুতো । এই শরীর সতোপ্রধান হতে পারবে না । সতোপ্রধান শরীর তো সত্যযুগেই
প্রাপ্ত হবে । তোমাদের আত্মা এখন সতোপ্রধান তৈরী হচ্ছে । শরীর তো সেই পুরানো ।
তোমাদের এখন নিজেদের আত্মাকে শুধরাতে হবে । তোমাদের পবিত্র হতে হবে । সত্যযুগে তোমরা
শরীরও পবিত্র প্রাপ্ত করবে । আত্মাকে শুদ্ধ করার জন্য এক বাবাকে স্মরণ করতে হয় ।
বাবাও আত্মাকে দেখেন। শুধুমাত্র দেখলেই আত্মা শুদ্ধ হবে না । সে তো যত বাবাকে স্মরণ
করবে ততই শুদ্ধ হতে থাকবে । এ তো তোমাদের কাজ। বাবাকে স্মরণ করতে করতে তোমাদের
সতোপ্রধান হতে হবে । বাবা তো এসেছেনই পথ বলে দিতে । এই শরীর তো অন্ত পর্যন্ত
পুরানোই থাকবে । এ তো কেবল কর্মেন্দ্রিয়, যার সঙ্গে আত্মার কানেকশন। আত্মা যখন ফুল
হয়ে যায়, তখন কর্তব্যও ভালো করে । ওখানে পাখি - জানোয়ারেরাও খুব ভালো থাকে ।
এখানে পাখি মানুষ দেখলে উড়ে চলে যায়, আর ওখানে তো খুব সুন্দর সুন্দর পাখি তোমাদের
সামনে - পিছনে ঘুরতে থাকবে, সেও নিয়ম মেনে । এমন নয় যে তারা ঘরের ভিতর ঢুকে যাবে,
নোংরা করে দিয়ে যাবে । তা নয়, সে হলো খুব সুন্দর নিয়মের দুনিয়া । ভবিষ্যতে
তোমাদের সব সাক্ষাৎকার হতে থাকবে । এখন তো মার্জিন অনেক পড়ে আছে । স্বর্গের মহিমা
তো অপরমপার। বাবার মহিমাও অপরমপার, তাই বাবার প্রপার্টির মহিমাও অপরমপার। বাচ্চাদের
কতো নেশা চড়া উচিত। বাবা বলেন, আমি সেই আত্মাদের স্মরণ করি, যারা সার্ভিস করে, তারা
অটোমেটিক্যালি স্মরণে আসে । আত্মার মধ্যে মন - বুদ্ধি আছে তো, তাই না । তারা বুঝতে
পারে যে, আমরা ফার্স্ট নম্বরের সার্ভিস করি বা সেকেন্ড নম্বরের সার্ভিস করি । এ সব
নম্বরের ক্রমানুসারে বুঝতে পারে । কেউ কেউ তো মিউজিয়াম তৈরী করে, প্রেসিডেন্ট,
গভর্নর ইত্যাদিদের কাছে যায় । অবশ্যই তারা তাহলে খুব ভালোভাবে বোঝাতে পারবে ।
সকলের মধ্যে নিজস্ব গুণ আছে । কারোর মধ্যে ভালো গুণ থাকলে বলা হয় যে, এ কতো গুণবান।
যারা সার্ভিসেবল হবে, তারা সর্বদা মিষ্টি কথা বলবে । কখনোই তারা কটু কথা বলতে পারবে
না । যারা কটু কথা বলে, তাদের মধ্যে ভূত আছে । দেহ - বোধ হলো এক নম্বর, এরপর এর
পিছনে আর ভূতেরা প্রবেশ করে ।
অনেক মানুষেরই খুব
খারাপ চালচলন হয় । বাবা বলেন, এই বেচারাদের কোনো দোষ নেই। তোমাদের এমন পরিশ্রম করতে
হবে, যেমন তোমরা পূর্ব কল্পে করেছো, তোমরা নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো,
এরপর ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ বিশ্বের রাশ (কন্ট্রোল) তোমাদের হাতে আসবে । এ হলো ড্রামার
চক্র, টাইমও ঠিক বলে দেওয়া হয় । এখন অল্প কিছু সময়ই বাকি আছে । ওরা স্বাধীনতা
দিলে পরিবর্তে দু'ভাগ করে দেয়, নিজেদের মধ্যে লড়াই করতে থাকে । না হলে ওদের বারুদ
ইত্যাদি কে কিনবে । এও তো ওদের ব্যবসা, তাই না । ড্রামা অনুসারে এও ওদের চালাকি ।
এখানেও টুকরো - টুকরো করে দেওয়া হয়েছে । ওরা বলে, আমরা যেন এই টুকরো পাই,
সম্পূর্ণ ভাগ করা হয়নি, এইদিকে নদীর জল বেশী, চাষবাস বেশী হয়, ওইদিকে আবার জল কম।
নিজেদের মধ্যে লড়াই - ঝগড়া করে । তারপর সিভিল ওয়ার হয়ে যায় । ঝগড়া তো অনেক হয় ।
তোমরা যখন বাবার বাচ্চা হয়েছো, তখন তোমরাও অনেক গালি খাও। বাবা তোমাদের বুঝিয়েছেন
যে, তোমরা এখন কলঙ্গীধর হও। বাবা যেমন গালি খান, তোমরাও তেমনই গালি খাও। এ তো তোমরা
জানো যে, এই বেচারারা জানেই না যে, তোমরা এই বিশ্বের মালিক হও। ৮৪ জন্মের কথা তো
খুবই সহজ। তোমরাই পূজ্য আবার তোমরাই পূজারী হও। কারোর আবার বুদ্ধিতে ধারণা হয় না,
এও ড্রামাতে এদের এমনই পার্ট। কি আর করা যাবে । যতই মাথা ঠুকতে থাকুক, উপরে চড়তে
পারবে না । চেষ্টা তো করানো হয় কিন্তু ভাগ্যে নেই। রাজধানী স্থাপন হয়, সেখানে তো
সবাইকেই চাই। এমন চিন্তা করে শান্তিতে থাকা উচিত। কারোর সঙ্গে খিটখিট করা উচিত নয়
। ভালোবেসে বোঝাতে হয় - এমন করো না । এইকথা আত্মা শোনে, এতে কিন্তু পদও আরো কম হয়ে
যাবে । কাউকে তো ভালো কথা বোঝালেও অশান্ত হয়ে পড়ে, তখন ছেড়ে দেওয়া উচিত। নিজেই যদি
এমন হয় তাহলে একে অপরকে বিরক্ত করতে থাকবে । এ অন্ত পর্যন্ত থাকবে । মায়াও দিনে
দিনে কড়া হয়ে যায় । মহারথীদের সঙ্গে মায়াও মহারথী হয়ে লড়াই করে । মায়ার তুফান
এলেও বাবাকে স্মরণ করার অভ্যাস হয়ে যায়, একদম অচল - অটল হয়ে থাকে । বুঝতেও পারে
যে, মায়া হয়রান করবে, কিন্তু ভয় পেলে চলবে না। কলঙ্গীধর যারা হয়, তাদের উপর
কলঙ্ক লাগে, এতে মন খারাপ করা চলবে না । খবরের কাগজের লোকেরাও বিপরীতে কথা বলে দেয়
কেননা এ হলো পবিত্রতার কথা । অবলাদের উপর অত্যাচারও হবে । অকাসুর - বকাসুর নামও আছে
। স্ত্রীদের নামও পুতনা, সুর্পনখা হয় ।
এখন বাচ্চারা
সর্বপ্রথমে বাবার মহিমাই শোনায় । অসীম জগতের বাবা বলেন, তুমি হলে আত্মা । এই নলেজ
এক বাবা ব্যতীত আর কেউই দিতে পারে না । রচয়িতা আর রচনার জ্ঞান, এই হলো পড়া, যাতে
তোমরা স্বদর্শন চক্রধারী হয়ে চক্রবর্তী রাজা হও। অলঙ্কারও তোমাদেরই, কিন্তু তোমরা
ব্রাহ্মণরা হলে পুরুষার্থী, তাই এই অলঙ্কার বিষ্ণুকে দিয়ে দিয়েছে । এই সব কথা
যেমন - আত্মা কি, পরমাত্মা কে, কেউই বলতে পারে না । আত্মা কোথা থেকে এসেছে, কিভাবে
বেরিয়ে যায়, কখনো বলে - চোখ দিয়ে বেরিয়ে গেছে, কখনো বলে ভ্রুকুটি দিয়ে বেরিয়ে
গেছে, কখনো বলে ব্রহ্মতালু দিয়ে বেরিয়ে গেছে । এ তো কেউ জানতে পারে না । তোমরা
এখন জানো যে, আত্মা এমনভাবে শরীর ত্যাগ করবে, বসে বসে বাবার স্মরণে দেহত্যাগ করবে ।
বাবার কাছে তো আনন্দের সাথে যেতে হবে । পুরানো শরীর খুশী মনে পরিত্যাগ করতে হবে ।
যেমন সাপের উদাহরণ আছে । জানোয়ারদের যে বুদ্ধি আছে, মানুষের তা নেই। ওই সন্ন্যাসী
ইত্যাদিরা তো কেবল দৃষ্টান্ত দেয় । বাবা বলেন যে, তোমাদের এমন হতে হবে, যেমন ভ্রমরী
কীটকে ট্রান্সফার করে দেয়, তোমাদেরও মনুষ্য রূপী কীটকে ট্রান্সফার করে দিতে হবে ।
কেবলমাত্র দৃষ্টান্ত দিলে হবে না, প্র্যাক্টিকালি করতে হবে । বাচ্চারা, তোমাদের এখন
ঘরে ফিরে যেতে হবে । তোমরা বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছো, তাই তোমাদের
অন্তরে খুশী হওয়া উচিত। ওরা তো উত্তরাধিকারকে জানেই না । শান্তি তো সবাই পায়,
সবাই শান্তিধামে যায় । বাবা ছাড়া আর কেউই সদ্গতি করতে পারে না । তোমাদের এও বোঝাতে
হয় যে, তোমাদের হলো নিবৃত্তি মার্গ, তোমরা ব্রহ্মে লীন হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করো
। বাবা তো প্রবৃত্তি মার্গ তৈরী করেন। এ হলো খুবই গুহ্য কথা । প্রথমে তো সবাইকেই
অল্ফ (আল্লাহ) আর বে (বাদশাহী), সম্বন্ধে পড়তে হয় । বলো, তোমাদের দুইজন বাবা -
জাগতিক আর অসীম জাগতিক। জাগতিক পিতার কাছে জন্মগ্রহণ করো বিকারের দ্বারা । সেখানে
কতো অগাধ দুঃখ প্রাপ্ত করো । সত্যযুগে তো অপার সুখ। সেখানে তো জন্মও মাখনের মতো হয়
। দুঃখের কোনো কথাই নেই। নামই হলো স্বর্গ। তোমরা অসীম জগতের বাবার কাছ থেকে অসীম
জগতের বাদশাহীর উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করো । প্রথমে হলো সুখ, পরে দুঃখ। প্রথমে দুঃখ
আর পরে সুখ, একথা বলা ভুল হবে । প্রথমে তো নতুন দুনিয়া স্থাপন হয়, পুরানো দুনিয়া
তো স্থাপন হয়ই না । পুরানো বাড়ি কেউ কি কখনো তৈরী করে? নতুন দুনিয়াতে তো আর রাবণ
থাকতে পারে না । এও বাবাই বুঝিয়ে বলেন তখন বুদ্ধির দ্বারা এই যুক্তি বোঝা যায় ।
অসীম জগতের বাবা অসীম জাগতিক সুখ প্রদান করেন। তিনি কিভাবে তা দেন, তোমরা এলে তবে
বোঝাবো । বোঝানোর জন্যও উপায় বা যুক্তি চাই। তোমরা দুঃখধামের দুঃখেরও সাক্ষাৎকার
করাও। এখানে কতো অগাধ দুঃখ, অপরমপার। নামই হলো দুঃখধাম। একে কেউ সুখধাম বলতে পারে
না । সুখধামে শ্রীকৃষ্ণ থাকেন। শ্রীকৃষ্ণের মন্দিরকেও সুখধাম বলা হয় । তাঁরা
সুখধামের মালিক ছিলেন, যাঁদের মন্দিরে এখনো পুজা করা হয় । এখন এই বাবাও লক্ষ্মী -
নারায়ণের মন্দিরে যাবেন আর তখন বলবেন আহা ! আমি তো এমন হই। এনার পূজা তো তখন
করবেনই না । নম্বরের ক্রমানুসারে তৈরী হয়, তাহলে সেকেন্ড, থার্ডের পূজা কেন করবেন।
আমরা তো সূর্যবংশী তৈরী হই। মানুষ তো জানেই না । ওরা তো সবাইকেই ভগবান বলতে থাকে।
এখানে কতো অন্ধকার। তোমরা কতো ভালোভাবে বোঝাও। এতে সময় লাগে । পূর্ব কল্পে যেমন
লেগেছিলো, শীঘ্র কিছুই করতে পারবে না । তোমাদের হীরের মতো জন্ম, তা হলো এখানকার কথা
। দেবতাদের জন্মও হীরের মতো বলা হবে না । ওরা তো কেউ ঈশ্বরীয় পরিবারে থাকেনই না ।
তোমাদের এ হলো ঈশ্বরীয় পরিবার। ওটা হলো দৈবী পরিবার। এ'সব কতো নতুন নতুন কথা ।
গীতাতে তো আটাতে নুনের মতো ও'টুকুই আছে । শ্রীকৃষ্ণের নাম দিয়ে সেখানে কতো ভুল করে
দিয়েছে । তোমরা বলো - তোমরা দেবতাদের তো দেবতা বলো, তাহলে শ্রীকৃষ্ণকে কেন ভগবান
বলো? বিষ্ণু কে? এও তোমরাই বুঝতে পারো । মানুষ তো জ্ঞান ছাড়া এমনিতেই পুজো করতে থাকে
। প্রাচীন হলো দেবতারাই। সতোঃ, রজঃ, তমোঃতে সবাইকেই আসতে হবে । এই সময় সবাই হলো
তমোপ্রধান। বাচ্চাদের পয়েন্টস তো খুবই বোঝানো হয় । ব্যাজের উপরেও তোমরা খুব
ভালোভাবে বোঝাতে পারো । বাবাকে আর যে টিচার পড়ান তাঁকে স্মরণ করতে হবে। কিন্তু
মায়ারও কতো টানাটানি চলতে থাকে । খুব ভালো ভালো পয়েন্টস বের হতে থাকে । যদি তা না
শোনো, তাহলে কিভাবে অন্যদের শোনাবে? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মহারথীরা যখন বাইরে এদিক -
ওদিক যায়, তখন মুরলী মিস্ করে, পরে আর পড়ে না । পেট যেন ভরে গেছে । বাবা বলেন, আমি
কতো গুহ্য - গুহ্য কথা তোমাদের শোনাই, যা শুনে তোমাদের ধারণ করতে হবে । ধারণা না হলে
কাঁচা থেকে যাবে । অনেক বাচ্চাও বিচার সাগর মন্থন করে ভালো ভালো পয়েন্টস শোনায় ।
বাবা দেখেন, শোনেনও, যেমন যেমন অবস্থা, তেমন তেমন পয়েন্টস বের করতে পারে । যা কখনো
ইনিও শোনান নি, তা সার্ভিসেবল বাচ্চারাও বের করে । তারা সার্ভিসেই লেগে থাকে ।
ম্যাগাজিনেও ভালো ভালো পয়েন্টস দিতে থাকে ।
বাচ্চারা, তাই তোমরা
বিশ্বের মালিক হও। বাবা তোমাদের কতো উচ্চ তৈরী করেন, গীতেও আছে যে, সারা বিশ্বের
নিয়ন্ত্রণ তোমাদের হাতে থাকবে । কেউ তা ছিনিয়ে নিতে পারবে না । এই লক্ষ্মী -
নারায়ণ তো বিশ্বের মালিক ছিলেন, তাই না । তাঁদের টিচার অবশ্যই বাবাই হবেন। এও
তোমারই বোঝাতে পারো । ওনারা কিভাবে রাজ্য পদ প্রাপ্ত করেছেন? মন্দিরের পূজারীরাও
জানে না । তোমাদের তো অপার খুশী হওয়া চাই। তোমরা এও বোঝাতে পারো যে, ঈশ্বর
সর্বব্যাপী নয় । এই সময় তো পাঁচ ভূত সর্বব্যাপী । এক একজনের মধ্যে এই বিকার আছে ।
মায়ার পাঁচ ভূত আছে । মায়া সর্বব্যাপী । তোমরা আবার ঈশ্বর সর্বব্যাপী বলে দাও। এ
তো ভুল, তাই না । ঈশ্বর কিভাবে সর্বব্যাপী হতে পারেন। তিনি তো অসীম জগতের
উত্তরাধিকার প্রদান করেন। তিনি কাঁটাকে ফুলে পরিণত করেন। এই কথা বোঝানোর
প্র্যাকটিসও বাচ্চাদের করা চাই। আচ্ছা !
মিষ্টি - মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
কেউ যখন অশান্তি ছড়ায় বা বিরক্ত করে, তখন তোমাদের শান্ত থাকতে হবে । বোঝানো
সত্ত্বেও যদি কেউ নিজের পরিবর্তন করতে না পারে, তখন বলবে যে এর ভাগ্য, কেননা রাজধানী
স্থাপন হচ্ছে ।
২ ) বিচার সাগর মন্থন
করে জ্ঞানের নতুন নতুন পয়েন্টস বের করে সার্ভিস করতে হবে । বাবা মুরলীতে যে গুহ্য
কথা রোজ শোনান, তা কখনো মিস্ করবে না ।
বরদান:-
পবিত্রতাকে আদি - অনাদি বিশেষ গুণের রূপে সহজভাবে আপন করে নেওয়া পূজ্য আত্মা ভব
পূজনীয় হওয়ার বিশেষ
আধার পবিত্রতার উপরে নির্ভর করে । যত যত সর্বপ্রকার পবিত্রতাকে আপন করে নেবে, ততই
সর্বপ্রকারে পূজনীয় হয়ে যাও। যিনি বিধিপূর্বক আদি - অনাদি বিশেষ গুণের রূপে
পবিত্রতাকে আপন করে নেন, তিনি বিধিপূর্বক পূজিত হন। যিনি জ্ঞানী এবং অজ্ঞানী
আত্মাদের সম্পর্কে এসেও পবিত্র বৃত্তি, দৃষ্টি, ভাইব্রেশনের দ্বারা যথার্থ সম্পর্ক
- সম্বন্ধ পালন করেন, স্বপ্নেও যার পবিত্রতা খণ্ডিত হয় না, তিনিই বিধিপূর্বক পূজিত
হন।
স্লোগান:-
ব্যক্ত-তে
থেকেও অব্যক্ত ফরিস্তা হয়ে সেবা করো, তাহলে বিশ্ব কল্যাণের কার্য তীব্রগতিতে
সম্পন্ন হবে ।
Comments
Post a Comment