Skip to main content

Bengali Murli

 

07.11.2023 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - সাবধান (সচেতন ) হয়ে পড়ার প্রতি সম্পূর্ণ মনোযোগী হও, এমন ভেবোনা যে , আমার তো শিববাবার সাথে ডায়রেক্ট কানেকশন আছে, এটা বলাও দেহ-অভিমান"

প্রশ্নঃ -
ভারত অবিনাশী তীর্থস্থান -- কিভাবে ?

উত্তরঃ  
ভারত বাবার বার্থপ্লেস হওয়ার কারণে অবিনাশী খন্ড, এই অবিনাশী খন্ডে সত্য যুগ আর ত্রেতা যুগে চৈতন্য দেবী-দেবতারা রাজত্ব করে, ঐ সময় ভারতকে শিবালয় বলা হয় । তারপর ভক্তি মার্গে জড় প্রতিমা তৈরি করে পূজা করে, শিবালয় ও অনেক নির্মাণ করে সুতরাং ঐ সময় ও তীর্থস্থান থাকে আর তাই ভারতকে অবিনাশী তীর্থ বলা হয় ।

গীতঃ-
রাতের পথিক, হয়ো না ক্লান্ত...

ওম্ শান্তি ।
ও রাতের পথিক ক্লান্ত হয়োনা এই সাবধান বাণী কে করেন? একথা শিববাবা বলেন । কিছু বাচ্চা এমনও আছে যারা মনে করে আমাদের তো শিববাবাই আছেন, যাঁর সাথে আমাদের কানেকশন আছে । কিন্তু উনিও তো ব্রহ্মা মুখ দ্বারাই শোনাবেন তাই না ! কেউ কেউ ভাবে শিববাবা আমাদের ডায়রেক্ট প্রেরণা দিচ্ছেন । কিন্তু এমন মনে করা ভুল । শিববাবা তো শিক্ষা অবশ্যই ব্রহ্মা দ্বারাই দেবেন । তোমাদের বুঝিয়ে বলছেন যে বাচ্চারা ক্লান্ত হয়ে পড়ো না । হলোই বা তোমাদের সাথে শিববাবার কানেকশন । শিববাবাও বলেন মনমনাভব । ব্রহ্মাও বলেন মনমনাভব । সুতরাং ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরাও বলে মনমনাভব । কিন্তু সতর্ক করে দেবার জন্য মুখের তো প্রয়োজন, তাই না ! কিছু বাচ্চা ভাবে আমাদের তো ওঁনার সাথে কানেকশন আছে। কিন্তু ডায়রেকশন তো ব্রহ্মা দ্বারাই দেবেন, তাই না ! যদি ডায়রেকশন ইত্যাদি ডায়রেক্ট (সরাসরি ) পাওয়া যায় তবে আর ওঁনার এখানে আসার দরকার কি ? এমন এমন বাচ্চা আছে যাদের এই ভাবনা আসে -- শিববাবা ব্রহ্মা দ্বারা বলেন সুতরাং আমার দ্বারাও বলতে পারেন । কিন্তু ব্রহ্মা ছাড়া তো কানেকশনই হবেনা । কেউ ব্রহ্মা বা ব্রহ্মাকুমার - কুমারীদের প্রতি রুষ্ট হলে এসব কথা বলতে থাকে । যোগ তো শিববাবার সাথে রাখতেই হবে । বাচ্চাদের শিক্ষা প্রদান করতে বাবাকে এই সাবধান বাণী দিতেই হয়। বাবা বুঝিয়ে বলেন তোমরা সময় মতো ক্লাসে আসো না, কে বলেন ? শিববাবা আর ব্রহ্মা দাদা দুজনেই বলেন, কেননা দুজনেই একই শরীরে বিরাজ করেন । তাই সাবধান করে অধ্যয়নের প্রতি মনোযোগী হওয়ার কথা বলেন । উচ্চ থেকে উচ্চতর বাবা এসে পড়াচ্ছেন । সর্বপ্রথম মহিমা শিববাবারই করতে হবে । ওঁনার মহিমা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অসীম অনন্ত তাঁর মহিমা । ওঁনার মহিমার জন্য অনেক ভালো - ভালো শব্দ আছে কিন্তু বাচ্চারা কখনও কখনও তা ভুলে যায় । বিচার সাগর মন্থন করে শিববাবার সম্পূর্ণ মহিমা লেখা উচিত ।

নিউ ম্যান কাকে বলা হবে? প্রকৃতপক্ষে হেভেনলি নতুন মানুষ হলো কৃষ্ণ । কিন্তু এই সময় (সঙ্গমে ) ব্রাহ্মণ চটিরই (শীর্ষ স্থান) গায়ন আছে । বাচ্চাদের রচনা করা হয় এবং তাদের শিক্ষা দেওয়া হয়। যদি লক্ষ্মী-নারায়ণকে নতুন মানুষ বলা হয় তবে তাদের শিক্ষা দেবার প্রয়োজন নেই । সুতরাং এখন নতুন মানুষ কে ? এটাই বোঝার আর বোঝানোর ব্যাপার । ঐ বাবা হলেন সর্বশক্তিমান, ওয়ার্ল্ড অলমাইটি । এই ওয়ার্ল্ড অলমাইটি শব্দটি বাবার মহিমা লেখার সময় ভুলে যায় । ভারতের মহিমাও করা হয় যে, ভারত অবিনাশী তীর্থ, কিভাবে ? তীর্থ তো ভক্তি মার্গে হয় । তবে ভারতকে অবিনাশী তীর্থ কিভাবে বলা যেতে পারে ? অবিনাশী তীর্থ কিভাবে হয় ? সত্য যুগেও কি আমরা একে তীর্থ বলতে পারি ? যদি আমরা অবিনাশী তীর্থ লিখে থাকি তবে কিভাবে? পরিষ্কার ব্যাখ্যা করে বোঝাতে হবে যে - হ্যাঁ, সত্যযুগ, ত্রেতাতেও এই ভারত তীর্থ ছিল, দ্বাপর - কলি যুগেও তীর্থ । অবিনাশী বলা হয় যখন চার যুগকেই প্রমাণ স্বরূপ বলতে হবে । তীর্থ ইত্যাদি তো শুরু হয় দ্বাপর থেকে । তারপরও কি আমরা লিখতে পারি যে ভারত অবিনাশী তীর্থ ? সত্য, -ত্রেতাতেও তীর্থ, যেখানে চৈতন্য দেবী-দেবতা বাস করত । এখন কলি যুগ হলো জড় তীর্থ । সত্য যুগে হলো চৈতন্য প্রকৃত তীর্থ, যাকে শিবালয় বলা হয় । এসব কথা বাবাই বসে বোঝান । ভারত হলো অবিনাশী খন্ড । বাকি সব বিনাশ হয়ে যাবে । এসব কথা কোনও মানুষই জানেনা । পতিত-পাবন বাবা এখানে আসেন, যাদের পাবন দেবী-দেবতা বানান তারাই ঐ শিবালয়ে থাকে । এখানে তো বদ্রীনাথ, অমরনাথে যেতে হয় । ওখানে (সত্য যুগে) ভারতই তীর্থ । এমনও নয় যে ওখানে শিববাবা আছেন । শিববাবা তো এখন আছেন । সমস্ত মহিমা এ সময়ের জন্য । এটা ( ভারত) শিববাবার বার্থপ্লেস । ব্রহ্মারও বার্থপ্লেস । শঙ্করের বার্থপ্লেস বলা হবে না । ওঁনার তো এখানে আসার দরকারই নেই । বিনাশ অর্থে তাকে নিমিত্ত বানানো হয়েছে । বিষ্ণু আসেন যখন দুই রূপে রাজত্ব করেন, পালন করেন । বিষ্ণুর দুই রূপ যুগল (লক্ষ্মী-নারায়ণ) অর্থে দেখানো হয়েছে । বিষ্ণু রূপেই তাঁর মূর্তি । উনি তো সত্য যুগে আসেন । সুতরাং আমাদের এক বাবারই মহিমা করতে হবে । তিনিই সেভিয়রও ( ত্রাণকর্তা) । ওরা তো ধর্ম স্থাপকদেরও সেভিয়র বলে দেয় । ক্রাইস্ট, বুদ্ধ ইত্যাদি যারাই আছে তাদেরও সেভিয়র বলে দেয়। ওরা ভাবে যে তারা শান্তি স্থাপন করতে এসেছে । কিন্তু ওরা শান্তি প্রদান করতে পারে না, কাউকে দুঃখ থেকে মুক্তিও দিতে পারে না । ওরা তো ধর্ম স্থাপনা করতে আসে । ওদের পিছনে অনেক ধর্মের মানুষ আসে । এই সেভিয়ার ( ত্রাণকর্তা ) শব্দটি সুন্দর । এই শব্দটি অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত । এই চিত্র যখন বিলেতে প্রত্যক্ষ হবে তখন সব ভাষাতেই তা প্রচার হবে । ওরা ( ক্রাইস্ট ) পোপ ইত্যাদির কত মহিমা করে । প্রেসিডেনট ইত্যাদি কেউ মারা গেলে কত মহিমা করে । যে যত বিখ্যাত মানুষ তার তেমনই মহিমা । কিন্তু এই সময় সবাই এক সমান হয়ে গেছে । ভগবানকে সর্বব্যাপী বলে দেয় । সব আত্মারা নিজেদেরকে বাবা বলে পিতাকে অপমান করে । এমন তো লৌকিক বাচ্চারাও বলতে পারেনা যে, আমিই বাবা । তবে হ্যাঁ, সে যখন নিজে কিছু ক্রিয়েশন করবে তখন তার বাবা হতে পারবে । এটা সম্ভবপর । এখানে তো সব আত্মাদের পিতা একজনই । আমরা তাঁর পিতা কখনওই হতে পারব না । ওঁনার বাচ্চা ও বলতে পারিনা । হ্যাঁ, এতো জ্ঞানের রমণ যেখানে আমরা বলতে পারি যে শিববাবা আমাদের সন্তান, উত্তরাধিকারী । এসব কথা কদাচিত্ অল্প কিছু সংখ্যক মানুষ বুঝতে পারবে । শিবকে বালক রূপে উত্তরাধিকারী বানিয়ে তাঁর প্রতি বলিপ্রদত্ত হই। শিববাবার প্রতি বাচ্চারা বলিপ্রদত্ত (সমর্পন ) হয়। এই স্থান পরিবর্তন ও হয় । বর্সা প্রদান করার কত মহত্ত্ব রয়েছে। বাবা বলেন দেহ সহ যা কিছু আছে তার সব কিছুরই উত্তরাধিকারী আমাকে বানাও । কিন্তু দেহ-অভিমান ছিন্ন হওয়া মুশকিল । নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করলে তবেই দেহ -অভিমান ছিন্ন হবে । দেহী -অভিমানী হওয়া বড়ো পরিশ্রম । আমরা আত্মা অবিনাশী । আমরা নিজেদের শরীর ভেবে বসে আছি । এখন আবার নিজেকে আত্মা মনে করা - এতেই পরিশ্রম রয়েছে । বড়'র থেকেও বড় রোগের কারণ হলো দেহ - অভিমান । নিজেকে আত্মা মনে করে যে পরমপিতা পরমাত্মাকে স্মরণ করে না তার বিকর্ম নাশ হয়না ।

বাবা বুঝিয়ে বলেন ভালো করে পড়াশোনা করলে নবাব হতে পারবে । শ্রীমৎ-এ চলতে হবে, নয়তো শ্রী শ্রীর অন্তরে স্থান পাওয়া অসম্ভব । অন্তরে স্থান পেলেই সিংহাসনে বসার অধিকার প্রাপ্ত হবে । অনেক ক্ষমাশীল হতে হবে । মানুষ বড়ো দুঃখী । দেখলে বিত্তবান মনে হবে । দেখ পোপের কত সম্মান । বাবা বলেন আমি কত নিরহঙ্কারী । ওই লোকেরা থোড়াই বলবে আমাকে স্বাগত জানাতে এত খরচ কোর না । বাবা যেখানেই যান প্রথমেই লিখে দেন -- কোনও জাঁকজমক যেন না হয়, স্টেশনেও সবার আসার প্রয়োজন নেই, কেননা আমি হলাম গুপ্ত । কিছুই করার দরকার নেই । কেউ থোড়াই জানে কে ইনি । আরও সবাইকে জানে । শিববাবাকে একদমই জানেনা । সুতরাং গুপ্ত থাকাই শ্রেয় । যত নিরহঙ্কারী হবে ততই ভালো । তোমাদের নলেজই হলো চুপ করে থাকার। বসে শুধু বাবার মহিমা করতে হবে । এ থেকেই বুঝতে পারবে বাবা পতিত-পাবন সর্বশক্তিমান । বাবার থেকেই অবিনাশী বর্সা প্রাপ্তি হয় । এসব বাচ্চারা ছাড়া আর কেউ বলতে পারবেনা । তোমরা বলবে শিববাবার কাছ থেকে আমরা নতুন দুনিয়ার বর্সা গ্রহণ করছি । চিত্র ও আছে । আমরা এই দেবতাদের মতো তৈরি হচ্ছি । শিববাবা আমাদের ব্রহ্মা দ্বারা বর্সা প্রদান করছেন, সেইজন্য শিববাবার মহিমা করি। এইম - অবজেক্ট একদম ক্লিয়ার । প্রদানকারী উনি । ব্রহ্মা দ্বারা শিক্ষা প্রদান করছেন । চিত্র দিয়ে বোঝাতে হবে । শিবেরও কত চিত্র বানিয়েছে । বাবা এসে পতিত থেকে পাবন বানিয়ে সবাইকে মুক্তি, জীবন-মুক্তিতে নিয়ে যান । চিত্রতেও ক্লিয়ার করে দেখানো হয়েছে, সেইজন্য বাবা জোর দিয়েছেন যে সবাইকে দিতে হবে যাতে তারা অধ্যয়ন করতে পারে । এখান থেকে জিনিস নিয়ে গিয়ে ওখানে ডেকরেশন করে রাখে । এটা তো খুব ভালো জিনিস । কাপড়ের পর্দা অনেক কাজের । এই চিত্রতেও অনেক কারেকশন হতে থাকে । ত্রাণকর্তা শব্দটিও প্রয়োজনীয় । আর কেউ না সেভিয়র, না পতিত - পাবন । যদিও পবিত্র আত্মারা আসে, কিন্তু ওরা সবাইকে থোড়াই পবিত্র বানাবে । ওদের ধর্মের আত্মারা নীচের পার্টে আসবে । এই পয়েন্ট গুলো সেন্সিবল বাচ্চা যারা আছে তারাই ধারণ করবে ।

শ্রীমৎ অনুসারে চলেনা, পড়া করেনা তারপর ফেল করে যায়। স্কুলেও ম্যানার্স দেখা হয় যে - এর চালচলন কেমন? দেহ-অভিমান থেকেই সব বিকার আসে । ধারণা কিছুই হয়না । আজ্ঞাকারী বাচ্চাদের বাবা ভালোবাসেন । অনেক পুরুষার্থ করতে হবে । কাউকে বোঝাতে হলে সর্বপ্রথম বাবার মহিমা করতে হবে । বাবার কাছ থেকে কিভাবে অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্তি হয় ? বাবার মহিমা সম্পূর্ণ লিখতে হবে । চিত্রকে বদল করা সম্ভব নয় । বাকি শিক্ষা সম্পূর্ণভাবে লিখতে হবে। বাবার মহিমা আলাদা । বাবার কাছ থেকে কৃষ্ণ বর্সা গ্রহণ করেছে তাই তাঁর মহিমা ও আলাদা । বাবাকে না জানার কারণে বোঝেনা যে ভারত বড়ো তীর্থক্ষেত্র । এটা প্রমাণ করে দেখাতে হবে যে ভারত অবিনাশী তীর্থ। এভাবে বসে যদি তোমরা বাচ্চারা বোঝাও তবে মানুষ অবাক হয়ে যাবে । ভারত হীরে তুল্য ছিল তারপর ভারতকে কড়িহীন বানিয়েছে কে ? এসব বোঝানোর জন্য বিচার সাগর মন্থন করা খুব প্রয়োজন । বাবা তো ঝট করে বলে দেন, এতে কারেকশন হওয়া উচিত । বাচ্চারা বলেনা । বাবা তো কারেকশন চান । একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিল, সে বুঝতে পারেনি কেন মেশিন খারাপ হলো, তখন আরেকজন অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার বসে তাকে বোঝায় যে, মেশিনে এটা করলে ঠিক হয়ে যাবে আর সত্যি সত্যি সেই মেশিন ঠিক হয়ে গিয়েছিল। আর সেই ইঞ্জিনিয়ার খুব খুশি হয়ে বলেছিল, একে তো পুরস্কার দেওয়া উচিত । তার বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছিল । বাবা বলেন তোমরা কারেকশন করলে আমিও বাহবা দেব । যেমন জগদীশ, সঞ্জয় (বাবা জগদীশ ভাই এর নাম সঞ্জয় দিয়েছিলেন) আছে কখনও কখনও সুন্দর পয়েন্টস বের করলে বাবাও খুশি হন । বাচ্চাদের সার্ভিসের নেশা থাকা উচিত । মেলা প্রদর্শনী তো হতেই থাকবে । যেখানেই কেউ প্রদর্শনী করবে সেখানে এই প্রদর্শনী স্থাপন করতে হবে । এখানে বুদ্ধির কপাট খোলা উচিত । সবাইকে সুখ দিতে হবে। স্কুলে নম্বর অনুসারে শিক্ষার্থী তো আছেই । পড়াশোনা না করলে ম্যানার্সও খারাপ হবে । আচ্ছা ।

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপ-দাদার স্মরণের স্নেহ সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) কারও প্রতি রুষ্ট হয়ে পড়া ছেড়ে দেওয়া উচিত নয় । দেহ-অভিমান ছেড়ে নিজের প্রতি ক্ষমাশীল হতে হবে । বাবার মতো নিরহঙ্কারী হতে হবে ।

২ ) ভালো ম্যানার্স ধারণ করতে হবে, সবাইকে সুখ দিতে হবে। আজ্ঞাকারী হতে হবে ।

বরদান:-
গুটিয়ে নেওয়ার শক্তির (Power to pack up) দ্বারা সেকেন্ডে ফুলস্টপ লাগাতে পারা নষ্টমোহ স্মৃতি স্বরূপ ভব

লাস্টে ফাইনাল পেপারের কোশ্চেন হবে – সেকেন্ডে ফুলস্টপ। আর কিছুই যেন স্মরণে না আসে। ব্যস্ বাবা আর আমি, তৃতীয় কোনো বিষয় নেই..... সেকেন্ডে আমার বাবা দ্বিতীয় কেউ নয়... এটা ভাবতেও সময় লাগে কিন্তু তোমরা তাতে স্থির হয়ে যাবে, নড়বে না। যখন কেন, কি.... ইত্যাদি প্রশ্ন উৎপন্ন হবে না তখনই নষ্টমোহ স্মৃতি স্বরূপ হতে পারবে । সেইজন্যই অভ্যাস করো যখন ইচ্ছা বিস্তারে যাও যখন ইচ্ছা গুটিয়ে নাও। ব্রেক পাওয়ারফুল যেন হয় ।

স্লোগান:-
যার স্বমানের কোনো অহংকার নেই সে-ই সদা নম্র হয়।


 

Comments

Popular posts from this blog

07-11-2023 प्रात:मुरली ओम् शान्ति "बापदादा" मधुबन

  07 -11-2023 प्रात:मुरली ओम् शान्ति "बापदादा" मधुबन “मीठे बच्चे - सावधान हो पढ़ाई पर पूरा ध्यान दो, ऐसे नहीं कि हमारा तो डायरेक्ट शिवबाबा से कनेक्शन है, यह कहना भी देह-अभिमान है'' प्रश्नः- भारत अविनाशी तीर्थ स्थान है - कैसे? उत्तर:- भारत बाप का बर्थ प्लेस होने के कारण अविनाशी खण्ड है, इस अविनाशी खण्ड में सतयुग और त्रेतायुग में चैतन्य देवी-देवता राज्य करते हैं, उस समय के भारत को शिवालय कहा जाता है। फिर भक्तिमार्ग में जड़ प्रतिमायें बनाकर पूजा करते, शिवालय भी अनेक बनाते तो उस समय भी तीर्थ है इसलिए भारत को अविनाशी तीर्थ कह सकते हैं। गीत:- रात के राही, थक मत जाना........ ओम् शान्ति। यह कौन सावधानी दे रहे हैं कि थक मत जाना - ओ रात के राही? यह शिवबाबा कहते हैं। कई बच्चे ऐसे भी हैं जो समझते हैं कि हमारा तो शिवबाबा ही है, उनसे हमारा कनेक्शन है। परन्तु वह भी सुनायेंगे तो जरूर ब्रह्मा मुख से ना। कई समझते हैं शिवबाबा हमको डायरेक्ट प्रेरणा करते हैं। परन्तु यह समझना रांग ह...

12.11.23 Morning Murli Om Shanti 22.03.96 BapDada Madhuban

12 .11.23       Morning Murli        Om Shanti   22.03.96   BapDada       Madhuban The personality of Brahmin life is to go beyond all questions and be constantly satisfied.   Today, BapDada, the Bestower of all attainments, is seeing all His children who are embodiments of full attainment. You have had a lot of attainments from BapDada, and if you were to make a list of them, it would be a very long list, and so, instead of speaking about the long list, you simply say: “Nothing is lacking in this Brahmin life.” So, BapDada is seeing that you have a lot of attainments. It is a long list, is it not? What would be the sign in the practical lives of those who have all attainments? You know this, do you not? The sign of all attainments is that the personality of satisfaction would be constantly visible on one’s face and in one’s activities. It...