Skip to main content

01.07.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন

 

01.07.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - শান্তিধাম হলো পবিত্র আত্মাদের ঘর, সেই ঘরে যেতে চাও তো সম্পূর্ণ পবিত্র হও"

প্রশ্নঃ -
বাবা সব বাচ্চাদেরকে কি গ্যারান্টি দেন?

উত্তরঃ  
মিষ্টি বাচ্চারা, আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি যে তোমরা আমাকে স্মরণ করলে, সাজা ভোগ না করেই তোমরা আমার ঘরে যাবে। তোমরা এক (পরম) পিতার সঙ্গেই হৃদয়ের যোগসূত্র স্থাপন করো, এই পুরানো দুনিয়াকে দেখেও দেখো না, এই দুনিয়ায় থেকেই পবিত্র হয়ে দেখাও, তাহলে বাবা তোমাদের বিশ্বের রাজত্ব (বাদশাহী) অবশ্যই দেবেন।

ওম্ শান্তি ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জিজ্ঞাসা করছেন, এ তো বাচ্চারা জানে যে, বাবা এসেছেন আমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের নিজের ঘরে নিয়ে যাওয়ার জন্য, এখন ঘরে যাওয়ার মন(ইচ্ছা) হয় কি? ওটা হলো সব আত্মাদেরই ঘর। এখানে সব জীবাত্মাদের ঘর এক নয়। এটা তো বোঝো যে, বাবা এসেছেন। বাবাকে নিমন্ত্রণ করে ডেকে এনেছো। আমাদের ঘরে অর্থাৎ শান্তিধামে নিয়ে চলো। এখন বাবা বলছেন, নিজের হৃদয়কে(মন) প্রশ্ন করো -- হে আত্মারা, অপবিত্র হয়ে তোমরা কীভাবে যাবে? পবিত্র তো অবশ্যই হতে হবে। এখন ঘরে যেতে হবে আর তো কোনো কথা তিনি বলেন না। ভক্তিমার্গে তোমরা এতো সময় পর্যন্ত পুরুষার্থ করেছো, কিসের জন্য? মুক্তির জন্য। তাই বাবা এখন জিজ্ঞাসা করছেন যে, ঘরে যাওয়ার জন্য কোনো বিচার-বিবেচনা করছো কি? বাচ্চারা বলে - বাবা, এরজন্যই তো এতো ভক্তি করেছি। তোমরা একথাও জানো যে, যত জীবাত্মা রয়েছে, সকলকেই নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু পবিত্র হয়ে ঘরে যেতে হবে আর পুনরায় পবিত্র আত্মারাই সর্বপ্রথমে আসে। অপবিত্র আত্মারা তো ঘরে থাকতে পারে না। এখন যে সকল কোটি-কোটি আত্মারা রয়েছে, সকলকে ঘরে অবশ্যই যেতে হবে। ওই ঘরকে শান্তিধাম বা বাণপ্রস্থ বলা হয়। আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের পবিত্র হয়ে পবিত্র শান্তিধামে যেতে হবে। ব্যস্ । কত সহজ কথা। ওটা হলো আত্মাদের পবিত্র শান্তিধাম। ওটা হলো জীবাত্মাদের পবিত্র সুখধাম। আর এটা হলো জীবাত্মাদের পতিত (অপবিত্র) দুঃখধাম। এতে মুষড়ে পড়ার মতো কোনো কথাই নেই। শান্তিধাম অর্থাৎ যেখানে সব পবিত্র আত্মারা বসবাস করে। ওটা হলো আত্মাদের পবিত্র দুনিয়া - ভাইসলেস (নির্বিকারী), ইনকরপোরিয়াল (নিরাকারী) দুনিয়া। এই পুরানো দুনিয়া হলো সব জীবাত্মাদের। সকলেই অপবিত্র। এখন বাবা এসেছেন, আত্মাদেরকে পবিত্র বানিয়ে, পবিত্র শান্তিধামে নিয়ে যেতে আর যারা রাজযোগ শেখে তারাই পুনরায় পবিত্র সুখধামে আসবে। এ তো অতি সহজ, এর মধ্যে আর কোনো বিচার-বিবেচনা করতে হবে না। বুদ্ধির দ্বারা বুঝতে হবে। আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের পিতা এসেছেন, আমাদের পবিত্র শান্তিধামে নিয়ে যেতে। ওখানে যাওয়ার পথ যা আমরা ভুলে গিয়েছিলাম, তা এখন বাবা বলে দিয়েছেন। প্রতি কল্পে এইভাবেই এসে বলি - হে বৎসগণ, শিববাবাকে অর্থাৎ আমাকে স্মরণ করো। সকলের সদ্গতিদাতাই হলেন এক সদ্গুরু। তিনিই এসে বাচ্চাদেরকে পয়গাম বা শ্রীমৎ দেন যে - বাচ্চারা, এখন তোমাদের কি করতে হবে? আধাকল্প তোমরা অনেক ভক্তি করেছো, দুঃখ পেয়েছো। খরচ করতে-করতে কাঙ্গাল হয়ে গেছো। আত্মাও সতোপ্রধান থেকে তমোপ্রধান হয়ে গেছে। ব্যস্, এই সামান্য কথাটাই বোঝার। এখন ঘরে যেতে হবে নাকি হবে না? হ্যাঁ বাবা, অবশ্যই যেতে হবে। ওটা হলো আমাদের সুইট সাইলেন্স হোম। এও সঠিকভাবে বোঝো যে, এখন আমরা পতিত, তাই যেতে পারবো না। বাবা এখন বলেন, আমাকে স্মরণ করো, তাহলে তোমাদের পাপ দূর হয়ে যাবে। প্রতি কল্পে আমি এই পয়গামই (সংবাদ) দিয়ে থাকি। নিজেকে আত্মা মনে করো, এই দেহ তো বিনাশ হয়ে যাবে। এছাড়া আত্মাদের তো ঘরে ফিরে যেতে হবে। ওটাকে বলা হয় নিরাকারী দুনিয়া। সব নিরাকারী আত্মারাই ওখানে থাকে। ওই ঘর হলো আত্মাদের। নিরাকার বাবাও ওখানে থাকেন। বাবা আসেন সকলের শেষে, কারণ পুনরায় সকলকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তখন একজন পতিত আত্মাও এখানে আর থাকবে না। এতে মুষড়ে পড়া বা কষ্টের কোনো ব্যাপার নেই। গাওয়াও হয়, পতিত-পাবন এসে আমাদের পবিত্র বানিয়ে সঙ্গে করে নিয়ে চলো। তিনি তো সকলেরই পিতা, তাই না। পুনরায় যখন আমরা নতুন দুনিয়ায় নিজের নিজের পার্ট প্লে করতে আসি তখন জনসংখ্যা অতি অল্প থাকে। বাকি এত কোটি আত্মারা তখন কোথায় গিয়ে থাকে? এও জানো, সত্যযুগে জীবাত্মারা স্বল্পমাত্রায় ছিল, ছোট বৃক্ষ ছিল যা পরে বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃক্ষে অনেক ভিন্ন-ভিন্ন ধর্ম রয়েছে। একেই কল্পবৃক্ষ বলা হয়। কিছুই যদি না বোঝো তবে জিজ্ঞাসা করতে পারো। কেউ বলে - বাবা, কল্পের আয়ু ৫ হাজার বছর তা আমরা কি করে মানবো? আরে, বাবা তো সত্যই শোনায়। চক্রের হিসেবও বলেছেন।

এই কল্পের সঙ্গমেই বাবা এসে দৈবী রাজধানী স্থাপন করেন, যা এখন নেই। সত্যযুগে পুনরায় এক রাজধানী হবে। এইসময় তিনি তোমাদের রচয়িতা আর রচনার জ্ঞান শোনান। বাবা বলেন, আমি প্রতি কল্পে, কল্পের সঙ্গমযুগে আসি। নতুন দুনিয়া স্থাপন করি। পুরানো দুনিয়া সমাপ্ত হয়ে যাবে। ড্রামার প্ল্যান অনুযায়ী, নতুন থেকে পুরানো, পুরানো থেকেই নতুন তৈরী হয়। এর সম্পূর্ণ ৪টি ভাগ রয়েছে যাকে স্বস্তিকাও বলা হয়, কিন্তু মানুষ বোঝে না কিছুই। ভক্তিমার্গে তো যেন পুতুল-খেলা খেলতে থাকে। সেখানে অনেক চিত্র রয়েছে, দীপমালায় (দীপাবলি) বিশেষ দোকান খোলে, তাতে প্রচুর চিত্রও থাকে। তোমরা এখন বুঝে গেছো যে, এক হলেন শিববাবা আর আমরা হলাম তাঁর সন্তান। এরপর এখানে এসো, প্রথমে লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব, তারপর রাম-সীতার রাজ্য, পরে আবার অন্যান্য ধর্ম আসে, বাচ্চারা, যার সঙ্গে তোমাদের কোন সম্পর্ক নেই। ওইসব (ধর্ম) নিজের নিজের সময়ে আসে, পুনরায় সকলকে ফিরে যেতে হয়। বাচ্চারা, তোমাদেরকেও ঘরে ফিরে যেতে হবে। সমগ্র এই দুনিয়া বিনাশ প্রাপ্ত হবে। এখন এর মধ্যে কি আর থাকা। এই দুনিয়ায় এখন মনই বসে না। মন দিতে হবে সেই এক প্রীতমকে (মাশুক), তিনি বলেন, একমাত্র আমার সঙ্গেই হৃদয়ের যোগসূত্র স্থাপন করো তবেই তোমরা পবিত্র হবে। এখন অনেক সময় পেরিয়ে গেছে, আর অল্প রয়েছে, সময় অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে। যদি যোগে না থেকে থাকো তবে অন্তিম সময়ে অনেক অনুতাপ করতে হবে, শাস্তিভোগ করতে হবে, পথভ্রষ্টও হয়ে যাবে। এও তোমরা এখনই জানতে পেরেছো যে, কত সময় হয়েছে আমরা আমাদের ঘর ছেড়েছি। ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্যই তো মাথা চাপড়াও, তাই না। বাবাকেও ঘরেই পাওয়া যাবে। সত্যযুগে তো পাবে না। মুক্তিধামে যাওয়ার জন্য মানুষ কত পরিশ্রম করে। একে বলা হয় ভক্তিমার্গ। ড্রামা অনুসারে এখন ভক্তিমার্গ সমাপ্ত হয়ে যাবে। এখন আমি তোমাদের ঘরে নিয়ে যেতে এসেছি। অবশ্যই নিয়ে যাবো। যে যত পবিত্র হবে তত উচ্চপদ প্রাপ্ত করবে। এতে মুষড়ে পড়ার মতো কোন কথাই নেই। বাবা বলেন - বাচ্চারা, তোমরা আমাকে স্মরণ করো, আমি গ্যারান্টি করছি যে, তোমরা কোনো শাস্তিভোগ না করেই ঘরে ফিরে যাবে। স্মরণের দ্বারাই তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে। যদি স্মরণ না করো তবে সাজাভোগ করতে হবে, পথভ্রষ্টও হয়ে যাবে। প্রতি ৫ হাজার বছর পরে আমি এখানে এসে বোঝাই। আমি অনেকবার এসেছি তোমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। বাচ্চারা, তোমরাই জয়-পরাজয়ের পার্ট প্লে করো, পুনরায় আমি আসি নিয়ে যেতে। এ হলো পতিত দুনিয়া, তাই গায়নও করে যে, পতিত-পাবন এসো, আমরা বিকারী অপবিত্র, এসে নির্বিকারী পবিত্র করো। এ হলো বিকারী দুনিয়া। বাচ্চারা, এখন তোমাদের সম্পূর্ণ নির্বিকারী হতে হবে। যারা পরে আসে তারা সাজাভোগ করে যায় তাই আবার আসেও এমন দুনিয়ায় যেখানে দুই কলা কম হয়ে যায়। তাকে সম্পূর্ণ পবিত্র বলা যাবে না তাই এখন পুরুষার্থও সম্পূর্ণ করা উচিত । এমন যেন না হয় যে পদ কমে যায়। যদিও রাবণ-রাজ্য নয়, কিন্তু পদ তো নম্বরের ক্রমানুসারেই প্রাপ্ত হয়, তাই না। আত্মায় খাদ পড়লে তখন আবার তার শরীরও এমনই পাওয়া যাবে। আত্মা গোল্ডেন এজেড (স্বর্ণযুগীয়) থেকে সিলভার এজেড (রৌপ্যযুগীয়) হয়ে পড়ে। রৌপ্যের খাদ আত্মায় পড়ে পুনরায় দিনে-দিনে অনেক বেশী খাদ পড়ে তা অতি নিম্নমানের পাত্রে পরিণত হয়। বাবা অনেক ভালোভাবে বোঝান। কেউ যদি না বুঝতে পারো তবে হাত তোলো। যারা ৮৪ জন্মের চক্রকে আবর্তন করেছে, তাদেরই বোঝাবেন। বাবা বলেন, এঁনার(ব্রহ্মার) ৮৪ জন্মের শেষলগ্নে এসে আমি প্রবেশ করি। এঁনাকেই পুনরায় প্রথম নম্বরে যেতে হবে, যিনি অনেক জন্মের শেষে পতিত হয়ে গেছেন, আমি পতিত-পাবন, ওঁনার শরীরেই আসি, ওঁনাকে পবিত্র করি। কত পরিষ্কার করে বোঝাই।

বাবা বলেন, আমাকে স্মরণ করো তবেই তোমাদের পাপ ভস্মীভূত হবে। গীতার জ্ঞান তো তোমরা অনেক শুনেছো আর শুনিয়েছো কিন্তু তাতেও তোমরা সদ্গতি পাওনি। অনেক সন্ন্যাসী তোমাদের মিষ্টি-মধুর বচনে শাস্ত্র শুনিয়েছে, যে বচন শুনে বড়-বড় (গন্যমান্য) ব্যক্তিরা একত্রিত হয়। এ তো হলো কানরস, তাই না। ভক্তিমার্গ হলোই কানরসের। আর আত্মাকে তো এখানে বাবাকে স্মরণ করতে হয়। ভক্তিমার্গ এখন সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। বাবা বলেন - বাচ্চারা, আমি তোমাদেরকে জ্ঞান প্রদান করতে এসেছি, যা কেউ জানে না। আমিই জ্ঞানের সাগর। জ্ঞান বলা হয় নলেজকে। তোমরা সবকিছুই পড়াও। ৮৪-র চক্রকেও বোঝাও, তোমাদের কাছে সব জ্ঞানই রয়েছে। সাকারলোক (স্থূলবতন) থেকে সূক্ষ্মলোক ক্রশ (পেরিয়ে) করে তারপর নিরাকারী লোকে (মূলবতনে) যাও। সর্বপ্রথমে লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব। ওখানে বাচ্চার জন্ম বিকারের দ্বারা হয় না, কারণ ওখানে রাবণ-রাজ্যই নেই। যোগবলের দ্বারাই সবকিছু হয়, তোমাদের সাক্ষাৎকার হয় - ছোট বাচ্চা হয়ে এখন গর্ভ-মহলে যেতে হবে। খুশী-খুশী যায়। এখানে তো মানুষ কত কান্না, চিৎকার-চেঁচামেচি করে। এখানে তো গর্ভ-জেলে যায়, তাই না। ওখানে (স্বর্গে) কান্নাকাটির কোনো ব্যাপারই নেই। শরীর তো অবশ্যই বদলাতে হবে। যেমন, সর্পের উদাহরণ, এতে মুষড়ে পড়ার মতো কোনো কিছু নেই। অধিক জিজ্ঞাসা করবার মতো কিছু থাকে না। সম্পূর্ণ পবিত্র হওয়ার পুরুষার্থে লেগে পড়া উচিত । বাবাকে স্মরণ করা খুব কঠিন কি! বাবার সম্মুখে বসে রয়েছো, তাই না। আমি তোমাদের বাবা, তোমাদের সুখের উত্তরাধিকার দিই। এই এক অন্তিম জন্ম তোমরা স্মরণ করতে পারো না! এখানে ভালো মতো বোঝেও কিন্তু ঘরে গিয়ে যখন আবার স্ত্রী ইত্যাদির চেহারা দেখে তখন মায়া গ্রাস করে নেয়। বাবা বলেন, কারোর প্রতি আসক্তি রেখো না। এসব কিছু সমাপ্ত হয়ে যাবেই। স্মরণ তো এক বাবাকেই করতে হবে। চলতে-ফিরতে বাবাকে আর নিজেদের রাজধানীকে স্মরণ করো। দৈবী-গুণও ধারণ করো। সত্যযুগে এইসব খারাপ জিনিস, মাংস ইত্যাদি থাকেই না। বাবা বলেন, বিকারকে পরিত্যাগ করো। আমি তোমাদের বিশ্বের রাজত্ব দিই, (তোমাদের) কত আমদানি হয়। তবে কেন পবিত্র থাকবে না। শুধু এক জন্ম পবিত্র থেকেই কত বড় আমদানি হয়ে যায়। যদি একত্রে থাকোও, তথাপি মাঝখানে যেন জ্ঞানের তলোয়ার থাকে। পবিত্র থেকে দেখালে, তবেই সর্বাপেক্ষা উচ্চপদ পাবে। কারণ তোমরাও তখন বালব্রহ্মচারীর মতো হয়ে যাবে, তাই না। আবার নলেজও চাই। অন্যদেরও নিজ-সম তৈরী করতে হবে। সন্ন্যাসীদের দেখাতে হবে যে, কিভাবে আমরা একত্রে বসবাস করেও পবিত্র থাকি। তবেই বুঝবে যে, এদের মধ্যে অনেক বড় শক্তি রয়েছে। বাবা বলেন, এই এক জন্ম পবিত্র থাকলে তোমরা ২১ জন্মের জন্য বিশ্বের মালিক হয়ে যাবে। কত বড় পুরস্কার প্রাপ্ত করো তাই কেন পবিত্র থেকে দেখাবে না! এখন সময় অতি অল্প, আওয়াজও উঠবে, আবার সংবাদপত্রেও পড়বে। রিহার্সাল তো দেখেছো, তাই না। (জাপানে) এক আনবিক বোমায় কি অবস্থা হয়ে গেছে। এখনও হাসপাতালে পড়ে রয়েছে। এখন তো এমন বোমা ইত্যাদি তৈরী করে যাতে কোনো কষ্ট নেই, তৎক্ষণাৎ শেষ। আর এই রিহার্সাল হয়ে আবার ফাইনালও হবে। দেখা হবে যে, তৎক্ষণাৎ মৃত্যু হয় কি না? তখন আবার আরও যুক্তি রচনা(বুদ্ধি প্রয়োগ) করবে। হসপিটাল ইত্যাদিও থাকবে না। কে বসে সেবা করবে! কোনো ব্রাহ্মণাদি খাওয়ানোর জন্য থাকবে না। বোমা নিক্ষিপ্ত হবে আর সব শেষ। ভূমিকম্পে সব চাপা পড়ে যাবে। দেরী লাগবে না। এখানে (কলিযুগে) মানুষজন অনেক, সত্যযুগে অনেক কম হয়। তাহলে এতসব মানুষ কীভাবে বিনাশপ্রাপ্ত হবে। ভবিষ্যতে দেখবে পাবে, ওখানে তো শুরুতে জনসংখ্যা ৯ লক্ষ হবে।

ফকিরও (সন্ন্যাসী) তোমরা, আবার সাহেবও (পরমাত্মা) তোমাদের প্রিয়, এখন সবকিছু ছেড়ে নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করেছো, এমন ফকিররাই বাবার অতি প্রিয় হয়। সত্যযুগের বৃক্ষ অনেক ছোট হবে। কথা তো বাবা অনেক বোঝান, সকল অ্যাক্টররাই হলো অবিনাশী আত্মা, যারা তাদের নিজের পার্ট প্লে করতে আসে। প্রতি কল্পে তোমরাই এসে স্টুডেন্ট হয়ে পড়াশোনা করো। জানো যে, বাবা আমাদের পবিত্র বানিয়ে সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন । ড্রামা অনুসারে, অবশ্যই বাবা সকলকে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য। সেই কারণেই নাম হলো পান্ডবসেনা। তোমরা পান্ডবরা কি করছো? তোমরা বাবার কাছ থেকে রাজ্য-ভাগ্য নিচ্ছো, অবিকল পূর্ব কল্পের মতো। পুরুষার্থের নম্বরের ক্রমানুসারে। আচ্ছা!

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) বাবার প্রিয় হতে হলে সম্পূর্ণ ফকির হতে হবে। দেহকে ভুলে নিজেকে আত্মা মনে করার অর্থই হলো ফকির হয়ে যাওয়া। বাবার কাছ থেকে অনেক বড় প্রাইজ নেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ পবিত্র হয়ে দেখাতে হবে।

২ ) ঘরে ফিরে যেতে হবে, তাই পুরানো দুনিয়ার দিকে মন দিও না। এক প্রেমিকের সঙ্গেই হৃদয়ের যোগসূত্র স্থাপন করো। বাবা এবং রাজধানীকে স্মরণ করো।

বরদান:-
ব্রাহ্মণ জীবনে সদা চিয়ারফুল আর কেয়ারফুল মুডে থাকা কম্বাইন্ড রূপধারী ভব

যদি কোনও পরিস্থিতিতে প্রসন্নতার মুড পরিবর্তন হয় তাহলে সেটাকে সদা প্রসন্নতা বলা যাবে না। ব্রাহ্মণ জীবনে সদা চিয়ারফুল আর কেয়ারফুল মুড থাকবে। মুড পরিবর্তন করবে না। যদি মুড পরিবর্তন হয় তখন বলে - আমি একটু একান্তে থাকতে চাই। আজ আমার মুড এইরকম। মুড তখন পরিবর্তন হয় যখন একলা থাকো, সদা কম্বাইন্ড রূপে থাকো তাহলে মুড পরিবর্তন হবে না।

স্লোগান:-
কোনও উৎসব পালন করা অর্থাৎ স্মরণ আর সেবার উৎসাহতে থাকা।


 

Comments

Popular posts from this blog

07-11-2023 प्रात:मुरली ओम् शान्ति "बापदादा" मधुबन

  07 -11-2023 प्रात:मुरली ओम् शान्ति "बापदादा" मधुबन “मीठे बच्चे - सावधान हो पढ़ाई पर पूरा ध्यान दो, ऐसे नहीं कि हमारा तो डायरेक्ट शिवबाबा से कनेक्शन है, यह कहना भी देह-अभिमान है'' प्रश्नः- भारत अविनाशी तीर्थ स्थान है - कैसे? उत्तर:- भारत बाप का बर्थ प्लेस होने के कारण अविनाशी खण्ड है, इस अविनाशी खण्ड में सतयुग और त्रेतायुग में चैतन्य देवी-देवता राज्य करते हैं, उस समय के भारत को शिवालय कहा जाता है। फिर भक्तिमार्ग में जड़ प्रतिमायें बनाकर पूजा करते, शिवालय भी अनेक बनाते तो उस समय भी तीर्थ है इसलिए भारत को अविनाशी तीर्थ कह सकते हैं। गीत:- रात के राही, थक मत जाना........ ओम् शान्ति। यह कौन सावधानी दे रहे हैं कि थक मत जाना - ओ रात के राही? यह शिवबाबा कहते हैं। कई बच्चे ऐसे भी हैं जो समझते हैं कि हमारा तो शिवबाबा ही है, उनसे हमारा कनेक्शन है। परन्तु वह भी सुनायेंगे तो जरूर ब्रह्मा मुख से ना। कई समझते हैं शिवबाबा हमको डायरेक्ट प्रेरणा करते हैं। परन्तु यह समझना रांग ह...

12.11.23 Morning Murli Om Shanti 22.03.96 BapDada Madhuban

12 .11.23       Morning Murli        Om Shanti   22.03.96   BapDada       Madhuban The personality of Brahmin life is to go beyond all questions and be constantly satisfied.   Today, BapDada, the Bestower of all attainments, is seeing all His children who are embodiments of full attainment. You have had a lot of attainments from BapDada, and if you were to make a list of them, it would be a very long list, and so, instead of speaking about the long list, you simply say: “Nothing is lacking in this Brahmin life.” So, BapDada is seeing that you have a lot of attainments. It is a long list, is it not? What would be the sign in the practical lives of those who have all attainments? You know this, do you not? The sign of all attainments is that the personality of satisfaction would be constantly visible on one’s face and in one’s activities. It...