Skip to main content

29.06.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন

 

29.06.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা ‐ শরীর সহ যা কিছু দেখছো, এ'সবই বিনাশ হবে, তোমরা আত্মাদের এখন ঘরে ফিরে যেতে হবে, সেইজন্যই পুরানো দুনিয়াকে ভুলে যাও"

প্রশ্নঃ -
তোমরা বাচ্চারা কোন্ শব্দে সবাইকে বাবার মেসেজ (বার্তা) শোনাতে পারো?

উত্তরঃ  
সবাইকে বলো যে অসীম জগতের বাবা উত্তরাধিকার দিতে এসেছেন। এখন সীমিত জগতের উত্তরাধিকারের সময় সম্পূর্ণ হয়েছে অর্থাৎ ভক্তি সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন রাবণ রাজ্য সমাপ্ত হতে চলেছে। বাবা এসেছেন তোমাদের রাবণের ৫ বিকারের জেল থেকে মুক্ত করতে। এখন হলো পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ, এখানে তোমাদের পুরুষার্থ করে দৈবী গুণ ধারণকারী হতে হবে। শুধুমাত্র পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগকে বুঝতে পারলেই স্থিতি শ্রেষ্ঠ হতে পারে।

ওম্ শান্তি ।
এখন আত্মিক বাচ্চারা কি করছে? অব্যভিচারী স্মরণে বসেছে। এক হয়ে থাকে অব্যভিচারী স্মরণ, দ্বিতীয় হলো ব্যভিচারী স্মরণ। অব্যভিচারী স্মরণ বা অব্যভিচারী ভক্তি যখন প্রথম শুরু হয় তখন সবাই শিবের পূজা করে। উচ্চ থেকে উচ্চতম হলেন ভগবান, তিনি বাবাও শিক্ষকও। তিনিই পড়ান। কি পড়ান? উনি মনুষ্য থেকে দেবতা করে তোলেন। দেবতা থেকে মনুষ্য হতে বাচ্চারা তোমাদের ৮৪ জন্ম লেগেছে। মনুষ্য থেকে দেবতা হতে এক সেকেন্ড লাগে। এটা তো বাচ্চারাও জানে যে - আমরা বাবার স্মরণে বসেছি। তিনি আমাদের টিচার এবং সদ্গুরুও। তিনি যোগ শেখান যে - এক এরর স্মরণে থাকো। তিনি স্বয়ং বলেন ‐ হে আত্মারা, হে বাচ্চারা, দেহের সব সম্বন্ধকে ত্যাগ করো, এখন ফিরে যেতে হবে। এই পুরানো দুনিয়ার পরিবর্তন হচ্ছে। এখন এখানে আর থাকার নয়। পুরানো দুনিয়ার বিনাশের জন্যই এই বারুদ ইত্যাদি তৈরি করেছে। ন্যাচারাল ক্যালামিটিজও সহযোগ দেয়। বিনাশ তো অবশ্যই হবে। তোমরা পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগে রয়েছো। আত্মারা এটা জানে। আমরা এখন ফিরতে চলেছি সেইজন্যই বাবা বলেন এই পুরানো দুনিয়া, পুরানো শরীরকেও ছাড়তে হবে। দেহ সহ যা কিছু এই দুনিয়াতে দেখা যায়, এ'সবই বিনাশ হয়ে যাবে। শরীরও শেষ হয়ে যাবে। এখন আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের ঘরে ফিরে যেতে হবে। ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত নতুন দুনিয়াতে আসতে পারবে না। এখন তোমরা পুরুষোত্তম হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করছো। পুরুষোত্তম হলো দেবতারা। সবচেয়ে উচ্চ থেকে উচ্চতর হলেন নিরাকার বাবা। এরপর মনুষ্য সৃষ্টিতে এলে তখন হবে উচ্চ দেবতা। তারাও মানব কিন্তু দৈবীগুণ সম্পন্ন। এরপর তারাই আসুরি গুণ সম্পন্ন হয়ে যায়। এখন পুনরায় আসুরি গুণ থেকে দৈবীগুণ সম্পন্ন হতে হবে। সত্যযুগে যেতে হবে। কাদের? বাচ্চারা তোমাদের। তোমরা বাচ্চারা পড়াশোনা করে অন্যদেরও পড়াশোনা করাচ্ছো। শুধুমাত্র বাবার মেসেজ দিতে হবে। অসীম জগতের বাবা এসেছেন স্বর্গের উত্তরাধিকার দিতে। এখন সীমিত উত্তরাধিকার সম্পূর্ণ হতে চলেছে।

বাবা বুঝিয়েছেন - ৫ বিকার রূপী রাবণের জেলে সমস্ত মানুষ রয়েছে । সবাই দুঃখই পেয়ে চলেছে। শুকনো রুটি জুটছে। বাবা এসে সবাইকে রাবণের জেল থেকে ছাড়িয়ে আনেন, সদা সুখী করে তোলেন। বাবা ছাড়া মানবকে আর কেউ-ই দেবতা করে তুলতে পারবে না। তোমরা এখানে বসেছো, মনুষ্য থেকে দেবতা হওয়ার জন্য। এখন হলো কলিযুগ। অনেক ধর্ম হয়ে গেছে। বাচ্চারা তোমাদের রচয়িতা আর রচনার পরিচয় স্বয়ং বাবা বসে দিয়ে থাকেন। তোমরা শুধু ঈশ্বর, পরমাত্মা বলতে। তোমাদের এটা জানাই ছিল না যে, তিনিই হলেন বাবা, এবং টিচার ও গুরু। ওঁনাকে বলা হয় সদ্গুরু। অকালমূর্তও বলা হয়। তোমাদের আত্মা আর জীব বলা হয়। সেই অকালমূর্ত এই শরীর রূপী আসনে বসে আছেন। উনি জন্ম গ্রহণ করেন না। সুতরাং অকালমূর্ত বাবা বাচ্চাদের বসে বোঝান - আমার নিজের রথ (শরীর) নেই, আমি বাচ্চারা তোমাদের কিভাবে পবিত্র করে তুলব! আমার তো রথ চাই তাই না! অকালমূর্তেরও আসন তো প্রয়োজন। অকাল তখ্ত (অবিনাশী আসন) মানুষের হয় আর কারো হয়না। তোমাদের প্রত্যেকের আসন চাই। অকালমূর্ত আত্মা এখানে বিরাজমান। উনি সবার পিতা, ওঁনাকে বলা হয় মহাকাল, উনি পুনর্জন্মে আসেন না। তোমরা আত্মারা পুনর্জন্মে আসো। আমি আসি কল্পের সঙ্গম যুগে। ভক্তি হলো রাত, জ্ঞানকে বলা হয় দিন। এটা নিশ্চিতভাবে মনে রেখো। মুখ্য হলো দুটি বিষয় - অল্ফ আর বে, বাবা আর বাদশাহী। বাবা এসে বাদশাহী দেন আর বাদশাহীর জন্য উনি শিক্ষাও প্রদান করেন, সেইজন্যই একে পাঠশালাও বলে। ভগবানুবাচঃ, ভগবান হলেন নিরাকার। ওঁনারও পার্ট থাকা উচিত। উনি হলেন উচ্চ থেকে উচ্চতম ভগবান, সবাই ওঁনাকে স্মরণ করে। বাবা বলেন এমন কোনো মানুষ নেই যে ভক্তি মার্গে স্মরণ করে না। অন্তর থেকে সবাই ডাকে - হে ভগবান, হে লিবরেটর (মুক্তিদাতা), ও গড ফাদার! কেননা তিনি হলেন সকল আত্মাদের ফাদার, নিশ্চয়ই অসীম জগতের সুখই দেবেন। সীমিত জগতের পিতা সীমিত সুখ দেন। এ'বিষয়ে কারো জানা নেই। এখন বাবা এসেছেন, তিনি বলেন - বাচ্চারা, সব সঙ্গ ত্যাগ করে একমাত্র আমাকে অর্থাৎ বাবাকে স্মরণ করো। বাবা এটাও বলেছেন তোমরা দেবী-দেবতারা নতুন দুনিয়াতে থাকো। ওখানে আছে অপার সুখ। ঐ সুখের অন্ত পাওয়া যায় না। নতুন বাড়িতে সবসময় সুখ থাকে, পুরানো বাড়িতে দুঃখ। তবেই তো বাবা বাচ্চাদের জন্য নতুন বাড়ি তৈরি করেন। বাচ্চাদের বুদ্ধিযোগ তখন নতুন বাড়ির দিকে থাকে। এ তো হলো সীমিত জগতের কথা। এখন তো অসীম জগতের পিতা নতুন দুনিয়া স্থাপন করছেন। পুরানো দুনিয়াতে যা কিছু দেখছো সেসবই কবরখানা হয়ে যাবে, এখন পরিস্তান স্থাপন হচ্ছে। তোমরা রয়েছো সঙ্গম যুগে। কলিযুগকেও দেখতে পারো, সত্যযুগকেও দেখতে পারো। তোমরা সঙ্গম যুগে সাক্ষী হয়ে দেখো। প্রদর্শনী বা মিউজিয়ামে কেউ এলে সেখানেও তোমরা সঙ্গম যুগে দাঁড় করিয়ে দাও। এদিকে আছে কলিযুগ, ওই দিকে সত্যযুগ। আমরা মাঝখানে আছি। বাবা নতুন দুনিয়া স্থাপন করেন। যেখানে খুব অল্প সংখ্যক মানুষ থাকে। আর কোনো ধর্মাবলম্বী আসে না। শুধুমাত্র তোমরাই প্রথমে আসো। এখন তোমরা স্বর্গে যাওয়ার জন্য পুরুষার্থ করছো। তোমরা পবিত্র হওয়ার জন্যই আমাকে ডেকে বলেছো বাবা, আমাদের পবিত্র করে পবিত্র দুনিয়াতে নিয়ে চলো। এমনটা বলো না যে শান্তিধামে নিয়ে চলো। পরমধামকে বলা হয় সুইট হোম। এখন আমাদের ঘরে যেতে হবে, যাকে মুক্তিধাম বলা হয়, যার জন্যই সন্ন্যাসী ইত্যাদি শিক্ষা দেন। ওরা সুখধাম সম্পর্কে জ্ঞান দিতে পারে না। ওরা হলো নিবৃত্তি মার্গের। বাচ্চারা তোমাদেরকে বোঝানো হয়েছে যে - কোন্ কোন্ ধর্ম কখন-কখন আসে। মনুষ্য সৃষ্টি রূপী বৃক্ষে প্রথম ফাউন্ডেশন ছিল তোমাদের। বীজকে বলা হয় বৃক্ষপতি। বাবা বলেন আমি বৃক্ষপতি উপরে নিবাস করি। যখন গাছ সম্পূর্ণভাবে জড়াজীর্ণ হয়ে পড়ে, তখনই আমি আসি দেবতা ধর্ম স্থাপন করতে। বেনিয়ন ট্রি ( শিবপুর বোট্যানিকেল গার্ডেনের বট বৃক্ষ) বড়ই ওয়ান্ডারফুল। ফাউন্ডেশন ছাড়াই সম্পূর্ণ ঝাড় দাঁড়িয়ে আছে। অসীম জাগতিক এই বৃক্ষেও আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম নেই। বাদবাকি সব ধর্ম দাঁড়িয়ে আছে।

তোমরা মূললোকের নিবাসী ছিলে। এখানে পার্ট প্লে করতে এসেছো। তোমরা বাচ্চারা অলরাউন্ডার পার্ট প্লে করে থাকো, সেইজন্যই ৮৪ জন্ম হলো ম্যাক্সিমাম। মিনিমাম

হলো এক জন্ম। মানুষ বলে থাকে ৮৪ লক্ষ জন্ম। সেটাও কাদের হবে ‐ এটাও বুঝতে পারে না। বাবা এসে বাচ্চারা তোমাদের বোঝান - ৮৪ জন্ম তোমরা নিয়ে থাকো। সবার প্রথমে তো তোমরা আমার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাও। প্রথমে সত্যযুগের দেবতারাই থাকে। যখন সেই আত্মারা এখানে পার্ট প্লে করতে আসে তখন বাকি আত্মারা কোথায় থাকে? এটাও তোমরা জানো - সেই আত্মারা তখন শান্তিধামে থাকে। সুতরাং শান্তিধাম আলাদা তাইনা। বাকি দুনিয়া তো রয়েছে এখানেই। পার্ট এখানেই প্লে করতে হয়। নতুন দুনিয়াতে সুখের পার্ট, পুরানো দুনিয়াতে দুঃখের পার্ট প্লে করতে হয়। সুখ আর দুঃখের এই খেলা। ওখানে হলো রামরাজ্য। দুনিয়াতে কোনো মানুষ এটা জানে না যে সৃষ্টি চক্র কিভাবে ঘুরছে। না রচয়িতাকে, না রচনার আদি মধ্য অন্তকে জানে। জ্ঞানের সাগর একমাত্র বাবাকেই বলা হয়। রচয়িতা আর রচনার আদি মধ্য অন্তের জ্ঞান সম্পর্কে কোনো শাস্ত্রে লেখা নেই। আমি তোমাদের শোনাই। এরপর এই জ্ঞান প্রায় লুপ্ত হয়ে যায়। সত্যযুগে এই জ্ঞান থাকে না।

ভারতের প্রাচীন সহজ রাজযোগের সুখ্যাতি রয়েছে । গীতাতেও রাজযোগের নাম আছে। বাবা তোমাদের রাজযোগ শিখিয়ে রাজত্বের উত্তরাধিকার দেন। রচনার কাছ থেকে উত্তরাধিকার পাওয়া যায় না। উত্তরাধিকার পাওয়া যায় রচয়িতা বাবার কাছ থেকে। প্রতিটি মানুষ ক্রিয়েটর, বাচ্চাদের রচনা করে (জন্ম দেওয়া)। ওরা হলো হদের (সীমিত জাগতিক) ব্রহ্মা, ইনি হলেন অসীম জগতের ব্রহ্মা। উনি হলেন নিরাকার আত্মাদের পিতা, ওরা হলো লৌকিক পিতা, আর ইনি হলেন প্রজাপিতা ব্রহ্মা। প্রজাপিতা কখন হওয়া উচিত? সত্যযুগে? না । পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগে হওয়া উচিত। মানুষের তো এটাও জানা নেই যে সত্যযুগ কখন হয়। ওরা তো সত্যযুগ, কলিযুগকে লক্ষ বছর বলে দিয়েছে। বাবা বোঝান প্রতিটি যুগ হলো ১২৫০ বছর করে। ৮৪ জন্মের হিসেব চাই তাই না ! সিঁড়িরও হিসেব চাই তাই না - আমরা কিভাবে নিচে নেমে আসি। সর্বপ্রথম ফাউন্ডেশনে আসে দেবী-দেবতা। এরপর আসে ইসলাম, বৌদ্ধ । বাবা বৃক্ষের রহস্য সম্পর্কেও ব্যাখ্যা করেছেন। বাবা ছাড়া আর কেউ শেখাতে পারবে না। তোমাদের জিজ্ঞাসা করবে এই চিত্র ইত্যাদি কিভাবে তৈরি করেছো? কে শিখিয়েছে? ওদের বলো, বাবা আমাদের ধ্যানে দেখিয়েছেন, তারপর আমরা তৈরি করেছি। এরপর বাবা এই রথে প্রবেশ করে কারেক্ট করে দেন যে এইভাবে-এইভাবে তৈরি করো। স্বয়ং-ই কারেক্ট করেন।

শ্রীকৃষ্ণকে শ্যাম-সুন্দর বলে থাকে, কিন্তু মানুষ এটা বুঝতে পারেনি যে কেন বলা হয়? শ্রীকৃষ্ণ যখন বৈকুন্ঠের মালিক ছিলেন তখন ফর্সা বা সুন্দর ছিলেন এরপর যখন গাঁয়ের বালক হলেন তখন শ্যাম হয়ে গেলেন, সেইজন্যই তাকে শ্যাম-সুন্দর বলা হয়। ইনিই প্রথমে আসেন। ততত্বম্ (তোমাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য)। এই লক্ষী-নারায়ণের রাজত্ব সেখানে চলে। আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা কে করেন? এটাও কেউ জানে না। ভারতকে ভুলে গিয়ে হিন্দুস্তানের অধিবাসীরা নিজেদের হিন্দু বলে থাকে। আমি ভারতেই আসি। ভারতেই দেবতাদের রাজত্ব ছিল যা এখন প্রায় লুপ্ত হয়ে গেছে। আমি আসি পুনরায় স্থাপন করার জন্য। সবার প্রথমে ছিলই আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম। ঐ বৃক্ষ বৃদ্ধি পেতে থাকে। নতুন-নতুন পাতা, মঠ-পন্থ পরে আসে। সুতরাং ওরাও শোভনীয় হয়ে ওঠে। তারপর অন্তিমে যখন সম্পূর্ণ বৃক্ষের জড়াজীর্ণ অবস্থা হয়, তখনই আমি আসি। যদা যদা হি....। আত্মা নিজেকেও জানে না, সুতরাং বাবাকেও জানে না। নিজেকেও গালি দেয়, বাবাকে আর দেবতাদেরও গালি দিতে থাকে। তমোপ্রধান, অবিবেচক হয়ে পড়ে তবেই আমি আসি। পতিত দুনিয়াতেই আসতে হয়। তোমরা মানবকে জীবন দান করো অর্থাৎ মনুষ্য থেকে দেবতা করে তোলো। সব দুঃখ থেকে দুর করে দাও, সেটাও অর্ধেক কল্পের জন্য। গায়ন আছে না যে, বন্দে মাতরম্। সেই মাতারা কারা, যাদের বন্দনা করে? তোমরা মাতারা, সম্পূর্ণ সৃষ্টিকে স্বর্গ করে তোলো। যদিও পুরুষরাও আছে, কিন্তু অধিক সংখ্যক মাতারা আছে, সেইজন্যই বাবা মাতাদের মহিমা করেন। বাবা এসে তোমাদের এতো মহিমার যোগ্য করে তোলেন। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১) অপার সুখের দুনিয়াতে যাওয়ার জন্য সঙ্গমে থাকতে হবে। সাক্ষী হয়ে সবকিছু দেখেও বুদ্ধিযোগ নতুন দুনিয়াতে যুক্ত করতে হবে। বুদ্ধিতে থাকবে এখন আমরা ঘরে ফিরে যাচ্ছি।

২ ) সবাইকে জীবন দান করতে হবে, মনুষ্য থেকে দেবতা করে তোলার সেবা করতে হবে। অসীম জগতের বাবার কাছে পড়াশোনা করে অন্যদেরও পড়াতে হবে। দৈবীগুণ ধারণ করতে হবে এবং করাতেও হবে।

বরদান:-
সদা শ্রেষ্ঠ সময় অনুসারে শ্রেষ্ঠ কর্ম করে "বাঃ-বাঃ" এর গীত গাইতে থাকা ভাগ্যবান আত্মা ভব

এই শ্রেষ্ঠ সময়ে শ্রেষ্ঠ কর্ম করার সময় "বাঃ-বাঃ" এর গীত মনে মনে গাইতে থাকো। "বাঃ আমার শ্রেষ্ঠ কর্ম বা শ্রেষ্ঠ কর্মের শিক্ষা প্রদানকারী বাবা"। সুতরাং সদা বাঃ-বাঃ ! এর গীত গাও । ভুলেও কখনও দুঃখের চিহ্ন নজরে পড়লেও হায় শব্দ বেরোনো উচিত নয়। বাঃ ড্রামা বাঃ! এবং বাঃ বাবা বাঃ! যা স্বপ্নেও ছিল না ঘরে বসেই তা পেয়ে গেছি। এমনই ভাগ্যের নেশায় থাকো।

স্লোগান:-
মন-বুদ্ধিকে শক্তিশালী করে তুললে যে কোনো পরিস্থিতিতে অটল থাকবে।


 

Comments

Popular posts from this blog

07-11-2023 प्रात:मुरली ओम् शान्ति "बापदादा" मधुबन

  07 -11-2023 प्रात:मुरली ओम् शान्ति "बापदादा" मधुबन “मीठे बच्चे - सावधान हो पढ़ाई पर पूरा ध्यान दो, ऐसे नहीं कि हमारा तो डायरेक्ट शिवबाबा से कनेक्शन है, यह कहना भी देह-अभिमान है'' प्रश्नः- भारत अविनाशी तीर्थ स्थान है - कैसे? उत्तर:- भारत बाप का बर्थ प्लेस होने के कारण अविनाशी खण्ड है, इस अविनाशी खण्ड में सतयुग और त्रेतायुग में चैतन्य देवी-देवता राज्य करते हैं, उस समय के भारत को शिवालय कहा जाता है। फिर भक्तिमार्ग में जड़ प्रतिमायें बनाकर पूजा करते, शिवालय भी अनेक बनाते तो उस समय भी तीर्थ है इसलिए भारत को अविनाशी तीर्थ कह सकते हैं। गीत:- रात के राही, थक मत जाना........ ओम् शान्ति। यह कौन सावधानी दे रहे हैं कि थक मत जाना - ओ रात के राही? यह शिवबाबा कहते हैं। कई बच्चे ऐसे भी हैं जो समझते हैं कि हमारा तो शिवबाबा ही है, उनसे हमारा कनेक्शन है। परन्तु वह भी सुनायेंगे तो जरूर ब्रह्मा मुख से ना। कई समझते हैं शिवबाबा हमको डायरेक्ट प्रेरणा करते हैं। परन्तु यह समझना रांग ह...

12.11.23 Morning Murli Om Shanti 22.03.96 BapDada Madhuban

12 .11.23       Morning Murli        Om Shanti   22.03.96   BapDada       Madhuban The personality of Brahmin life is to go beyond all questions and be constantly satisfied.   Today, BapDada, the Bestower of all attainments, is seeing all His children who are embodiments of full attainment. You have had a lot of attainments from BapDada, and if you were to make a list of them, it would be a very long list, and so, instead of speaking about the long list, you simply say: “Nothing is lacking in this Brahmin life.” So, BapDada is seeing that you have a lot of attainments. It is a long list, is it not? What would be the sign in the practical lives of those who have all attainments? You know this, do you not? The sign of all attainments is that the personality of satisfaction would be constantly visible on one’s face and in one’s activities. It...